কাশ্মীরের সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ শুরু হয়েছে, যা ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে ঘটে যাওয়া একটি মারাত্মক সন্ত্রাসী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
⚔️ সাম্প্রতিক সংঘর্ষের পটভূমি
২২ এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে ভারতের নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পাহেলগাঁও এলাকায় একটি সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে ২৫ জন ভারতীয় এবং একজন নেপালি পর্যটক ছিলেন। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে একটি নতুন গোষ্ঠী, "কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স", যা ভারতের মতে পাকিস্তান-ভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়বার সঙ্গে যুক্ত। পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং একটি নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
🔥 সীমান্তে গোলাগুলি ও সামরিক উত্তেজনা
হামলার পর থেকে ২৪ এপ্রিল রাত থেকে নিয়ন্ত্রণ রেখা (LoC) বরাবর ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি বিনিময় শুরু হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে, পাকিস্তানি সেনারা "অপ্ররোচিতভাবে" বিভিন্ন স্থানে গুলি চালিয়েছে, যার জবাবে ভারতীয় সেনারা পাল্টা গুলি চালিয়েছে। এই সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। (Indian military says Pakistani troops fired at border positions ... - PBS)
🌊 কূটনৈতিক ও জলসম্পদ সম্পর্কিত পদক্ষেপ
ভারত সরকার পাকিস্তানের সঙ্গে ১৯৬০ সালে স্বাক্ষরিত ইন্দাস জলচুক্তি স্থগিত করেছে, যা পাকিস্তানের কৃষি ও পানির নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পাকিস্তান এই পদক্ষেপকে "যুদ্ধের ঘোষণা" হিসেবে অভিহিত করেছে এবং এর বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিক্রিয়ার হুমকি দিয়েছে।
🌐 আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং উভয় পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন যে, এই উত্তেজনা যদি নিয়ন্ত্রণে না আনা যায়, তবে এটি বৃহত্তর সামরিক সংঘর্ষে রূপ নিতে পারে, যা দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হতে পারে।
এই পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সক্রিয় ভূমিকা এবং উভয় দেশের মধ্যে সংলাপের মাধ্যমে সমাধানের প্রচেষ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।