চুরির অপবাদে তিন নারীর চুল কেটে নির্যাতন: প্রধান অভিযুক্ত আটক

 চুরির অপবাদে তিন নারীর চুল কেটে নির্যাতন: প্রধান অভিযুক্ত আটক



চুরির অপবাদে তিন নারীর চুল কেটে বর্বর নির্যাতন: প্রধান অভিযুক্ত সুমন আটক

গাজীপুরের গাছা থানার জিন্দাবাজার এলাকায় চুরির অপবাদ দিয়ে তিন নারীকে চুল কেটে লাঞ্ছিত ও শারীরিক নির্যাতনের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ প্রধান অভিযুক্ত সুমন ও তার সহযোগী রাব্বিকে গ্রেপ্তার করেছে।

ঘটনার বিস্তারিত:

বোরকা পরিহিত তিন নারী একটি শিশুকে সঙ্গে নিয়ে জিন্দাবাজার এলাকায় হাঁটছিলেন। স্থানীয় এক দোকান থেকে একটি মোবাইল ফোন হারানোর পর সন্দেহের চোখে তাদের আটক করা হয়। কোনো প্রমাণ ছাড়াই সুমন ও তার দলবল ওই নারীদের একটি ঘরে নিয়ে যায় এবং সেখানে তাদের উপর বর্বর নির্যাতন চালানো হয়। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, নারীদের বেদম মারধরের পাশাপাশি তাদের মাথার চুল কেটে দেওয়া হচ্ছে।

ভিডিও ভাইরাল ও জনমনে ক্ষোভ:

এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হলে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এ ঘটনাকে মধ্যযুগীয় বর্বরতা হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, কীভাবে একটি সভ্য সমাজে কোনো প্রমাণ ছাড়াই এভাবে নারীদের উপর এমন অমানবিক আচরণ করা যায়?

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পদক্ষেপ:

ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান অভিযুক্ত সুমন ও রাব্বিকে গ্রেপ্তার করে। গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার জানান, নির্যাতনের শিকার নারীদের চিকিৎসা ও আইনি সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে এবং অন্য জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সামাজিক প্রতিক্রিয়া ও দাবি:

এই ঘটনার প্রতিবাদে এলাকায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানবাধিকার কর্মী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ মানুষ দোষীদের দ্রুত বিচার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।



Post a Comment

Previous Post Next Post