ঢাবি ছাত্রনেতা শাম্মোর হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

 ঢাবি ছাত্রনেতা শাম্মোর হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ






ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ক্যাম্পাসজুড়ে উত্তেজনা ও বিক্ষোভ চলছে। ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা ব্যর্থতার অভিযোগ এনে উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেছেন।

হত্যাকাণ্ডের পটভূমি:

১৩ মে, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে শাহরিয়ার আলম সাম্য নিহত হন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এবং স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। নিহতের বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায়।

বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ:

হত্যাকাণ্ডের পরপরই ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা মধ্যরাতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। বুধবার দুপুরে রাজু ভাস্কর্য থেকে শুরু করে মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে তারা 'দফা এক দাবি এক, ভিসির পদত্যাগ', 'আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না' ইত্যাদি স্লোগান দেন।

ছাত্রদলের বক্তব্য:

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, 'সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মাদকসেবীদের আড্ডায় পরিণত হয়েছে, প্রশাসন এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।' ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, 'অতি দ্রুত আমরা এই ভিসি ও প্রক্টরকে সরানোর অনুরোধ করছি সরকারের কাছে। না হলে আমরা এই ইন্টেরিম সরকারকেই সরাতে বাধ্য হব।

আইনি পদক্ষেপ:

পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তদন্ত চলছে এবং দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে।

সার্বিক পরিস্থিতি:

এই হত্যাকাণ্ডের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা ব্যর্থতার অভিযোগ এনে উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে। ছাত্রদলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে তারা আরও কঠোর আন্দোলনের পথে যাবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post