'অপারেশন ডেভিল হান্ট' বাংলাদেশের একটি চলমান বিশেষ অভিযান, যা ২০২৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়। এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল সন্ত্রাসবাদ দমন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা।(Wikipedia)
🛡️ অভিযানের প্রেক্ষাপট ও উদ্দেশ্য
এই অভিযান শুরু হয় গাজীপুরে সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের উপর প্রাণঘাতী আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে। এই ঘটনার পর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাদের দাবির মুখে সরকার 'অপারেশন ডেভিল হান্ট' নামে দেশব্যাপী অভিযান শুরু করে ।(BBC, BBC)
👥 গ্রেপ্তার ও অভিযান পরিচালনা
অভিযান শুরুর পর প্রথম ১২ দিনে ৬,৩৫৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় । পরবর্তী সময়ে এই সংখ্যা ১১,০০০ ছাড়িয়ে যায় । গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে অনেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, যদিও তাদের মধ্যে কিছু বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিও রয়েছেন ।(Wikipedia, BBC)
🧭 অভিযান পরিচালনার দায়িত্ব
এই অভিযান পরিচালনায় বাংলাদেশ পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অংশগ্রহণ করছে ।(Wikipedia)
⚖️ সমালোচনা ও মানবাধিকার উদ্বেগ
মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই অভিযানে নিরপরাধ ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের অভিযোগ তুলেছে। তাদের মতে, অনেক ক্ষেত্রে বয়স বা শারীরিক অবস্থা বিবেচনা না করেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে ।(BBC)
⏳ অভিযান কতদিন চলবে?
সরকারি সূত্রে অভিযান শেষ হওয়ার নির্দিষ্ট সময়সীমা ঘোষণা করা হয়নি। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, "ডেভিল মানে কী? শয়তানরাই তো টার্গেট এইখানটায়। যারা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে। এই ক্ষেত্রে যারা আইন অমান্য করে। দুস্কৃতিকারী এবং সন্ত্রাসী তারাই এর টার্গেট" ।(BBC)
📈 বর্তমান পরিস্থিতি
অভিযান চলমান থাকলেও দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখা যায়নি। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, চুরি, ছিনতাই, ধর্ষণ এবং গণপিটুনির মতো ঘটনা অব্যাহত রয়েছে ।(BBC)
আপনি যদি এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য বা নির্দিষ্ট কোনো দিক সম্পর্কে জানতে চান, অনুগ্রহ করে জানান। আমি সাহায্য করতে প্রস্তুত।