জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের আত্মপ্রকাশ: নতুন রাজনৈতিক শক্তির উত্থান

 জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের আত্মপ্রকাশ: নতুন রাজনৈতিক শক্তির উত্থান



জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের আত্মপ্রকাশ: নতুন রাজনৈতিক শক্তির উত্থান

২০২৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর, বিজয় দিবসে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে 'জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ' নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটে। এই দলটি নিজেদেরকে মুসলিম জাতীয়তাবাদী নতুন ধারার রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। উদ্যোক্তারা জানান, এটি ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-জনতার প্রথম রাজনৈতিক দল। 

দলটির মূল দাবি ও লক্ষ্য

জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ ফ্যাসিবাদ বিলোপ এবং নতুন সংবিধান প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে। তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, যদি এই দাবি পূরণ না হয়, তবে ২০২৫ সালে নতুন করে গণঅভ্যুত্থানের ডাক দেওয়া হবে।

আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান ও মিছিল

আত্মপ্রকাশের দিন, দলটির নেতাকর্মীরা মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে একটি মিছিল বের করেন। মিছিলের নেতৃত্ব দেন জুলাই গণহত্যায় শহীদ নাইমা আক্তারের মা আইনুন নাহার এবং দলটির সাংগঠনিক প্রধান মোহাম্মদ শফিউর রহমান। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা "নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার", "ক্ষমতা না জনতা, জনতা জনতা", "আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম", "ঢাকা না দিল্লি, ঢাকা ঢাকা", "ভারতের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান" ইত্যাদি স্লোগান দেন। মিছিলটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।


উপস্থিত নেতৃবৃন্দ

আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দলটির নেতা জাকির মজুমদার, রোটারিয়ান রাবেয়া আক্তার, সাইয়েদ কুতুব, আবদুস সালাম, হাসান আরিফ, ইঞ্জিনিয়ার ইমামুল হক, ডা. জহিরুল ইসলাম, মো. রাশিদুল ইসলাম, ইমাম সাদিক আদনান, জয়নাল আবেদিন, আহমেদ মোফাচ্ছের, কাউসার আহমেদ প্রমুখ। এছাড়াও বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ, সদস্য সচিব ফজলুর রহমান, সহকারী সদস্য সচিব ইয়ামিন সরকার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক সানোয়ারা খাতুন, সদস্য সচিব মুহিব মুশফিক খান, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক মেহেদি হাসান মাহি, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক মো. আরিফুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট

গত বছরের আগস্ট মাসে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর থেকে বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক দল ও প্ল্যাটফর্মের উত্থান ঘটেছে। গত আট মাসে ২৬টি নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করেছে, যার মধ্যে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ অন্যতম। এই দলগুলোর উদ্দেশ্য ও ভবিষ্যৎ কার্যক্রম নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে নানা আলোচনা চলছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post