আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের কারাদণ্ড
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ১২ মে ২০২৫ তারিখে সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫-এর আওতায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর সকল ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
⚖️ আইন অনুযায়ী শাস্তির বিধান
সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর সংশোধিত ধারায় বলা হয়েছে, নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্য হওয়া, তাদের পক্ষে প্রচার চালানো, সভা-সমাবেশ আয়োজন বা সমর্থন করা—এসব অপরাধের জন্য সর্বনিম্ন ২ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৭ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে।
👥 গ্রেপ্তার ও কারাদণ্ডের বাস্তবতা
-
সামাজিক মাধ্যমে সমর্থন: ফেসবুক, ইউটিউব বা অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বললে, পোস্ট দিলে বা মন্তব্য করলে—এমনকি বিদেশে বসে করলেও—তাদের বিরুদ্ধে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টে মামলা করা যাবে। দেশে ফিরলেই গ্রেপ্তার হবে।
পুলিশের নির্দেশনা: ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক জানান, নিষিদ্ধ সংগঠনের কোনো কার্যক্রম ঢাকা রেঞ্জে চলতে দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে এসপিদের স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
🏛️ কারাগারে পরিস্থিতি
পাবনা জেলা কারাগারে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অন্যান্য বন্দিদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর পাঁচজনকে শাস্তিস্বরূপ অন্য জেলায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
📌 উপসংহার
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকে দলটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সামাজিক মাধ্যমে সমর্থন প্রকাশ, সমাবেশ আয়োজন বা গোপন বৈঠকে অংশগ্রহণের মতো কর্মকাণ্ডের জন্য গ্রেপ্তার ও কারাদণ্ডের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। আইনজীবীরা পরামর্শ দিচ্ছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সতর্ক থাকা এবং আইন মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।