পুশইন ও সীমান্ত হত্যার ক্ষেত্রে আশ্চর্যজনক নীরবতা পালন করছে সরকার

 পুশইন ও সীমান্ত হত্যার ক্ষেত্রে আশ্চর্যজনক নীরবতা পালন করছে সরকার




বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নাগরিকদের নিহত হওয়ার ঘটনা অব্যাহত রয়েছে, যা নিয়ে সরকারের প্রতিক্রিয়া ও পদক্ষেপ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।

🔫 সীমান্ত হত্যা ও পুশইন: চলমান উদ্বেগ

সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে একাধিক বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন। উদাহরণস্বরূপ, ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে ওবায়দুল নামে এক কৃষক বিএসএফের গুলিতে নিহত হন । এছাড়া, লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই রাখাল আহত হন ।

এছাড়া, সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে পুশইন (জোরপূর্বক প্রবেশ) ঘটনার অভিযোগও উঠেছে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন যে, এসব বিষয়ে সরকার নীরবতা পালন করছে ।

🗣️ সরকারের প্রতিক্রিয়া

বাংলাদেশ সরকার সীমান্ত হত্যার ঘটনায় ভারতের প্রতি প্রতিবাদ জানিয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ১৫ বছর বয়সী কিশোর জয়ন্ত কুমার সিংহ বিএসএফের গুলিতে নিহত হওয়ার পর, সরকার ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনে প্রতিবাদপত্র পাঠিয়েছে এবং সব সীমান্ত হত্যার তদন্ত ও দায়ীদের বিচারের দাবি জানিয়েছে ।

📉 আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন

মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের প্রথম ছয় মাসে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ১৩ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন । এই ধরনের হত্যাকাণ্ড আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও জেনেভা কনভেনশনের লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হয় ।

🧭 পরামর্শ ও করণীয়

  • কূটনৈতিক চাপ বৃদ্ধি: ভারতের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনায় সীমান্ত হত্যার বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তুলে ধরা।

  • আন্তর্জাতিক সহায়তা: জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার হস্তক্ষেপ চাওয়া।

  • সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার: বিজিবির সক্ষমতা বৃদ্ধি ও সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো।

  • জনসচেতনতা বৃদ্ধি: সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা।

সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারকে আরও কার্যকর ও দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

Post a Comment

Previous Post Next Post