জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ

 জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ



বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ১ জুন ২০২৫ তারিখে জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন বাতিলের ২০১৩ সালের হাইকোর্টের রায় বাতিল করেছে। এর ফলে, দলটি আবারও নির্বাচন কমিশনের অনুমোদিত রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে এবং জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ ফিরে পেয়েছে ।(কালবেলা)

🧾 নিবন্ধন পুনর্বহাল: কী বলা হয়েছে রায়ে?

আপিল বিভাগের রায়ে বলা হয়েছে, হাইকোর্টের ২০১৩ সালের রায়টি "মেইনটেইনেবল" ছিল না এবং তাই সেটি বাতিল করা হলো। নির্বাচন কমিশনকে দলটির গঠনতন্ত্র ও নিবন্ধন সংক্রান্ত যেকোনো অমীমাংসিত বিষয় নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।(Mzamin)

⚖️ দাঁড়িপাল্লা প্রতীক: ফেরত পাবে কি?

জামায়াতে ইসলামীর ঐতিহ্যবাহী প্রতীক 'দাঁড়িপাল্লা' বর্তমানে নির্বাচন কমিশনের প্রতীকের তালিকায় নেই। ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই প্রতীকটি শুধুমাত্র আদালতের প্রতীক হিসেবে ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত হয়। ফলে, নির্বাচন কমিশনকে বিধিমালা সংশোধন করে আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষে গেজেট প্রকাশ করতে হবে, যা সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া ।(BBC, Ajkerpatrika)

🌐 আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন পুনর্বহাল নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। তুরস্কের আনাদলু এজেন্সি, পাকিস্তানের ডন, আরব নিউজ এবং ভারতের এনডিটিভি এই বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এই রায়ের ফলে দলটি দীর্ঘদিন পর নির্বাচনী রাজনীতিতে ফেরার সুযোগ পেয়েছে ।(কালবেলা)

🗳️ পরবর্তী পদক্ষেপ

নির্বাচন কমিশন আপিল বিভাগের রায়ের সার্টিফায়েড কপি পাওয়ার পর দলটির নিবন্ধন ও প্রতীক সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। তবে, প্রতীক পুনর্বহালের জন্য বিধিমালা সংশোধনসহ প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে ।(BBC)

আপনি যদি এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে চান বা নির্দিষ্ট কোনো প্রশ্ন থাকে, আমাকে জানাতে পারেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post