আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ১২ মে ২০২৫ তারিখে সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫-এর আওতায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর সকল ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
নিষিদ্ধ কার্যক্রমের পরিসর
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও এর সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর প্রকাশনা, প্রচারণা, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলনসহ সব ধরনের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মী ও সদস্যদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
নিষেধাজ্ঞার কারণ
সরকারের ভাষ্য অনুযায়ী, গত ১৫ বছর, বিশেষ করে ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে গুম, খুন, নির্যাতন, সন্ত্রাস ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সুস্পষ্ট অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও ফৌজদারি আদালতে একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত
এই নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করেছে, ফলে দলটি ভবিষ্যতের জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০০৯ সাল থেকে আওয়ামী লীগের শাসনামলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। তবে, রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ না করার সুপারিশও করা হয়েছে।
আপনি যদি এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য জানতে চান বা নির্দিষ্ট কোনো দিক নিয়ে আলোচনা করতে চান, অনুগ্রহ করে জানান।