মিয়ানমারে আরাকান আর্মির হামলা

 মিয়ানমারে আরাকান আর্মির হামলা




মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি (AA) ও আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (ARSA)–এর মধ্যে চলমান সংঘর্ষ এবং সাম্প্রতিক সহিংসতা বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত অঞ্চলে উত্তেজনা বৃদ্ধি করেছে

আরাকান আর্মির সামরিক অগ্রগতি

২০২৪ সালের ৭ ডিসেম্বর, দীর্ঘ ১১ মাসের লড়াইয়ের পর আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপের ২৭০ কিলোমিটার এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর তারা রাখাইনের বিভিন্ন অঞ্চলে সামরিক অভিযান চালিয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর একাধিক ঘাঁটি দখল করে নেয়। এই অগ্রগতির ফলে সীমান্তবর্তী এলাকায় নিরাপত্তা পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে। 

⚔️ আরসা ও আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ

সম্প্রতি, রাখাইন রাজ্যের মংডু অঞ্চলে আরসা ও আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ বেড়েছে। ২৯ মার্চ, মোটরসাইকেল আরোহী পাঁচজন আরাকান আর্মির সদস্যের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় আরসার প্রায় ৬০ জন সদস্য। এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় আরাকান আর্মি আরসার ঘাঁটিতে পাল্টা হামলা চালায়, যার ফলে উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে।

🚨 সীমান্তে উত্তেজনা ও বাংলাদেশি জেলেদের অপহরণ 

এই সংঘর্ষের প্রভাব বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তেও পড়েছে। নাফ নদীতে মাছ ধরতে যাওয়া বাংলাদেশি জেলেদের আরাকান আর্মি গুলি করে ধরে নিয়ে গেছে। এছাড়া, আরাকান আর্মি নাফ নদীর মিয়ানমার অংশে অনির্দিষ্টকালের জন্য নৌ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যা সীমান্তবর্তী অঞ্চলে উত্তেজনা বৃদ্ধি করেছে। 

🧍‍♂️ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দুর্দশা

আরসা ও আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান সংঘর্ষের ফলে রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী চরম আতঙ্কে রয়েছে। অনেক রোহিঙ্গা সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছে, যার ফলে কক্সবাজারের আশ্রয়শিবিরগুলোতে নতুন করে চাপ সৃষ্টি হয়েছে। রোহিঙ্গা নেতারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, এই সংঘাত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াকে আরও জটিল করে তুলবে। 

🛡️ বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়া

বাংলাদেশ সরকার সীমান্ত পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আলোচনায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান জানিয়েছেন, সীমান্ত ব্যবস্থাপনার বিষয়ে আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে, তবে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। 

আপনি যদি এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য বা বিশেষ কোনো দিক সম্পর্কে জানতে চান, অনুগ্রহ করে জানান।

Post a Comment

Previous Post Next Post