সম্প্রতি কুমিল্লা-৬ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহারের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে অনুসন্ধান কমিটি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে।(dhakapost.com)
📝 অভিযোগের বিবরণ
২০২৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর, একটি উঠান বৈঠকে বাহার বলেন, "যদি কোনো বিএনপি ও জামায়াতের কর্মীকে কোনো প্রার্থীর পক্ষে পাওয়া যায়, তাহলে তার হাত ও ঠ্যাং ভেঙে দেবেন। আমি আ ক ম বাহাউদ্দীন আপনাদের সাথে আছি।" এই বক্তব্যের ভিডিও ফুটেজ একাত্তর টেলিভিশনে প্রচারিত হয় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।(dhakapost.com)
🔍 তদন্ত প্রতিবেদন
কুমিল্লার যুগ্ম জেলা জজ মো. সিরাজ উদ্দিন ইকবালের নেতৃত্বে গঠিত অনুসন্ধান কমিটি জানায়, বাহারের বক্তব্য "দ্য রিপ্রেজেন্টেশন অব পিপল অর্ডার, ১৯৭২" এর আর্টিকেল ৭৩ এবং রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর ১১(ক) বিধি লঙ্ঘন করেছে। কমিটি আরও উল্লেখ করে, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কোনো প্রার্থী তার কর্মী-সমর্থকদের আইন নিজের হাতে তুলে নিতে উৎসাহিত করতে পারেন না, যা সুষ্ঠু ও ভীতিমুক্ত নির্বাচনী পরিবেশ বিঘ্নিত করে। (dhakapost.com)
📌 সুপারিশ
অনুসন্ধান কমিটি নির্বাচন কমিশনের কাছে বাহারের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে। এটি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে যে, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
🔄 বাহারের প্রতিক্রিয়া
বাহার তার লিখিত ব্যাখ্যায় দাবি করেন, তার বক্তব্য খণ্ডিতভাবে প্রকাশ করা হয়েছে এবং তিনি নির্বাচন বানচালের চেষ্টায় লিপ্তদের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দিয়েছেন। তবে অনুসন্ধান কমিটি তার এই ব্যাখ্যাকে গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেনি।
📣 পরবর্তী পদক্ষেপ
এই সুপারিশের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন কী ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, তা এখনো জানা যায়নি। তবে এই ঘটনা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে।
এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে, আপনি এই প্রতিবেদনটি পড়তে পারেন।