উপজেলায় দেওয়ানি ও ফৌজদারি কোর্ট
বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণ ও জনগণের নিকট বিচারসেবা পৌঁছে দিতে সরকার উপজেলা পর্যায়ে পূর্ণাঙ্গ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।(bd-pratidin.com)
🏛️ উপজেলা পর্যায়ে আদালত স্থাপনের প্রস্তাব
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম পর্যায়ের বৈঠকে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে উপজেলা পর্যায়ে দেওয়ানি ও ফৌজদারি ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট পুনঃস্থাপন করতে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল নীতিগতভাবে একমত পোষণ করেছে। (dhakapost.com)
এর আগে, স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন পার্বত্য চট্টগ্রাম ব্যতীত দেশের সব উপজেলায় আগামী দুই বছরের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত স্থাপনের সুপারিশ করেছে। সুপারিশে বলা হয়েছে, জেলা নয়, উপজেলাই হবে দেশের স্বীকৃত নিম্ন আদালত, এবং জেলা হবে মধ্যবর্তী আদালত। জেলা জজ হবেন জেলা ও উপজেলা আদালতের তত্ত্বাবধায়ক। (dhakapost.com, bd-pratidin.com)
⚖️ প্রস্তাবিত কাঠামোর মূল দিকনির্দেশনা
-
আদালত স্থাপন: প্রতিটি উপজেলায় পূর্ণাঙ্গ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত প্রতিষ্ঠা করা হবে।(dhakapost.com)
-
বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (ADR): উপজেলা পর্যায়ে ADR-এর জন্য পূর্ণাঙ্গ কার্যালয় স্থাপন করা হবে, যার নেতৃত্বে থাকবেন একজন সিনিয়র সহকারী জজ।(bd-pratidin.com)
-
গ্রাম আদালত সংস্কার: ইউনিয়ন পরিষদের অধীন গ্রাম আদালত বিলুপ্ত করে ওয়ার্ড পর্যায়ে সালিশি ব্যবস্থার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়া হবে।(bd-pratidin.com)
-
পার্বত্য চট্টগ্রাম: এই অঞ্চলে দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালতের পরিবর্তে ADR-এর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।(bd-pratidin.com)
🎯 সম্ভাব্য সুবিধাসমূহ
-
বিচারপ্রাপ্তির সহজলভ্যতা: উপজেলা পর্যায়ে আদালত স্থাপনের ফলে জনগণের জন্য বিচারপ্রাপ্তি সহজ হবে।
-
মামলা জট হ্রাস: নিম্ন আদালতের পরিধি বৃদ্ধি পাওয়ায় উচ্চ আদালতের মামলার চাপ কমবে।
-
বিচারব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণ: বিচারসেবা কেন্দ্রীভূত না হয়ে স্থানীয় পর্যায়ে বিস্তৃত হবে।
এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে দেশের বিচারব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসবে, যা জনগণের নিকট ন্যায়বিচার পৌঁছে দিতে সহায়ক হবে।