ভারত ২০২৫ সালে জাপানকে পেছনে ফেলে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) এর তথ্য অনুযায়ী, ভারতের নামমাত্র জিডিপি (GDP) বর্তমানে ৪.১৮৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা জাপানের ৪.১৮৬ ট্রিলিয়ন ডলারের সামান্য বেশি। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন নীতি আয়োগের সিইও বি ভি আর সুব্রহ্মণ্যম, যিনি বলেন, "আমরা এখন বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি" ।
📊 শীর্ষ ১০ অর্থনীতির তালিকা (২০২৫)
-
যুক্তরাষ্ট্র – $৩০.৫১ ট্রিলিয়ন
-
চীন – $১৯.২৩ ট্রিলিয়ন
-
জার্মানি – $৪.৭৪ ট্রিলিয়ন
-
ভারত – $৪.১৮৭ ট্রিলিয়ন
-
জাপান – $৪.১৮৬ ট্রিলিয়ন
-
যুক্তরাজ্য – $৩.৮৪ ট্রিলিয়ন
-
ফ্রান্স – $৩.২১ ট্রিলিয়ন
-
ইতালি – $২.৪২ ট্রিলিয়ন
-
কানাডা – $২.২৩ ট্রিলিয়ন
-
ব্রাজিল – $২.০৬ ট্রিলিয়ন
📈 ভারতের অগ্রগতির কারণসমূহ
-
দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি: IMF পূর্বাভাস দিয়েছে যে, ভারত ২০২৫ সালে ৬.২% এবং ২০২৬ সালে ৬.৩% হারে বৃদ্ধি পাবে, যা বিশ্বের দ্রুততম বৃদ্ধির হারগুলোর মধ্যে অন্যতম ।(Gulf News)
-
বর্ধিত ভোক্তা চাহিদা: বিশাল জনসংখ্যা এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রমবর্ধমান চাহিদা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক।
-
প্রযুক্তি ও সেবা খাতের উন্নয়ন: আইটি, স্টার্টআপ এবং পরিষেবা খাতে ভারতের অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য।
🔮 ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
নীতি আয়োগের সিইও জানিয়েছেন যে, বর্তমান পরিকল্পনা ও কৌশল অব্যাহত থাকলে আগামী ২.৫ থেকে ৩ বছরের মধ্যে ভারত জার্মানিকে পেছনে ফেলে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হতে পারে ।
⚠️ চ্যালেঞ্জসমূহ
-
প্রতি মাথাপিছু আয়: ভারতের প্রতি মাথাপিছু আয় $২,৮৮০, যা জাপানের তুলনায় অনেক কম ।
-
আয় বৈষম্য: অর্থনৈতিক অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে আয় বৈষম্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
-
অবকাঠামোগত উন্নয়ন: দ্রুত নগরায়ণ ও শিল্পায়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অবকাঠামো উন্নয়ন একটি চ্যালেঞ্জ।
🎉 প্রতিক্রিয়া
এই অর্জনে দেশজুড়ে আনন্দের বন্যা বইছে। বলিউড অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন একে "অবিশ্বাস্য অর্জন" বলে মন্তব্য করেছেন ।
এই ঐতিহাসিক মুহূর্তটি ভারতের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার একটি মাইলফলক, যা ভবিষ্যতে আরও উন্নতির সম্ভাবনা উন্মোচন করে।