বিএনপি সমর্থন দিল–প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ১০ বছর সীমাবদ্ধ করার প্রস্তাব
BNP–এর standing committee সদস্য সালাহউদ্দীন আহমেদ আজ (২৫ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করেছেন:
-
তারা সংবিধানে একটি জীবনকাল ধরে সর্বোচ্চ ১০ বছরের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী পদে অধিষ্ঠিত থাকার সুপারিশে শর্তসাপেক্ষে সমর্থন দিয়েছে (dhakatribune.com, thedailystar.net)।
-
তবে তারা ‘constitutional appointments committee’ তৈরি করে নির্বাহী ক্ষমতা হ্রাস করার প্রস্তাবে আপত্তি জানিয়েছে, কারণ এটিতে প্রধানমন্ত্রী ও এক্সিকিউটিভের ওপর অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ থাকবে (en.prothomalo.com)।
🧩 প্রেক্ষাপট ও প্রভাব
-
দীর্ঘদিন “দুটি অবিরাম টার্ম” বা “৩ টার্ম” নিয়ে আলোচনার পর, বিএনপি এখন ১০ বছর জীবনকাল ভুক্ত সীমা মেনে নিচ্ছে ।
-
সালাহউদ্দীন উল্লেখ করেছেন, "অত্যাচার ও ফ্যাসিবাদের পথ বন্ধ করার দায়িত্ব আমাদের," এবং বলেন এই সীমা সেই উদ্দেশ্যে সাহায্য করবে ।
-
তারা রাষ্ট্রীয় নিয়োগ সংক্রান্ত রাজনৈতিক পরিষদের কোনো ফর্ম গ্রহণে সহমত পোষণ করছে না, বরং বর্তমান আইন সংস্কার করে ক্ষমতার ভারসাম্য বিধানে আগ্রহী ।
🇧🇩 সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট
-
এই সিদ্ধান্তটি জাতীয় ঐক্য কমিশনের সাথে নির্বাচনী সংস্কারের আলোচনার প্রেক্ষিতে এসেছে, যেখানে ৩০টিরও বেশি রাজনৈতিক দল অংশ নেয় ।
-
যদিও বিএনপি মেয়াদা নিয়ে ছাড়ছে, তবুও তারা নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর স্বাধীন নিয়ন্ত্রণ নেয়ার প্রস্তাবে আপত্তি করছে (banglanews24.com)।
🚦 সংক্ষেপে:
বিষয় | বিএনপির অবস্থান |
---|---|
মেয়াদ সীমা | জীবনকাল ১০ বছর (শর্তসাপেক্ষে) |
নিয়োগ প্রক্রিয়া | বৈধ প্রশাসন সংস্কারের পক্ষে, কিন্তু নিয়োগ সংক্রান্ত প্রশাসনিক কমিটি সৃষ্টি করার বিরুদ্ধে |
উপসংহার: বিএনপি একটি দীর্ঘসূত্রী পদক্ষেপে সম্মতি দেখালেও তা রাখছে “নির্বাহী শক্তির হ্রাস” নিয়েও উদ্বেগ। সেপ্টেম্বর–জুলাই নাগালের মধ্যে তারা চায় নির্বাচনী সংস্কার চূড়ান্ত হতে।
আরও বিস্তারিত বা সংশ্লিষ্ট প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জানাবেন।